আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী

জনগণের প্রত্যাশা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন


সম্পাদকীয়ঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল এ পরিস্থিতিতে আগামি ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। অতীতের মতো এবারেও জনগণের প্রত্যাশা একটি সুষ্টু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রূপকল্প ২০৪১ এর ভিশন নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগুচ্ছে জাতি। এ অবস্থায় একটি অপশক্তি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ধ্বংস করতে সামরিক ক্রু শাসনামল ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর কয়েকটি টার্ম ক্ষমতা পরিচালনা করার কারনে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোট নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। এরমধ্যে চলছে গুজব, ষড়যন্ত্র ও নির্বাচন বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বিএনপি মূলত অসংগঠিত ও রাজনৈতিক কৌশলে কোনঠাসা হয়ে পড়ায় এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। উৎসবপ্রিয় বাঙলার মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

আরও পড়ুন আয়কর আদায়ে ‘স্বল্প মেয়াদি কৌশল’ প্রয়োগ করুন

বিএনপি ভোটে না আসলেও এবারের নির্বাচনে ৩২টির মতো দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব কারচুপিমুক্ত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তাদেরকে নিয়ে ভোট সম্পন্নের ব্যবস্থা করা। কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশন বড়জোর নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাতে পারে। কমিশন সেটা করেছে। সুতরাং এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের বড় কোনো দোষ ধরার সুযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। গণতন্ত্র ও নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক। জনগণই গণতন্ত্রের প্রাণ এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। আর জনগণ এই ক্ষমতা কেবল নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমেই প্রয়োগ করে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার বেছে নেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।

সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্র্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, জনগণের আস্থা অর্জন করা। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম, সহিংসতা জনগণের কাছে কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, তা রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মী, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সব অংশীজনকে উপলব্ধি করে নির্বাচন সুষ্ঠু করার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও জনগণ নির্বাচন সফল করতে ইসিকে সহযোগিতা করবে এবং জনগণের সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। ভুলে গেলে চলবে না এবারের নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছে সারাবিশ^। তাই দেশের জনগণের মতো বিদেশিদের কাছেও যাতে বাংলাদেশের এই নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর